আগুন
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ৬২ তে কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে আগুন সংশ্লিষ্ট বিপদ এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী:
১. প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে বিধান দ্বারা নির্ধারিতভাবে অগ্নিকান্ডের সময় প্রত্যেক তলার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী অন্তত একটি বিকল্প সিঁড়ির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
২. কাজ চলাকালীন সময়ে কোন কক্ষের দরজা তালাবদ্ধ বা বাধাগ্রস্থ অবস্থায় রাখা যাবে না, যেন তারা সহজেই ভিতর থেকে তালা খুলতে পারে।
৩. সকল দরজা, যদি না এইগুলি হার্ডি টাইপের হয়, এমনভাবে তৈরী করতে হবে যেন তা বাইরের দিক থেকে খোলা যায়, অথবা যদি কোন দরজা দুই কক্ষের মাঝখানে হয়, তাহলে সেটি যেন ভবনের নিকটতম বহির্গমন পথের কাছাকাছি দিকে খোলা যায়।
৪.আগুন লাগলে দ্রæত বের হবার জন্য প্রত্যেক দরজা, জানালা অথবা অন্য কোন বহির্গমন পথ স্পষ্টভাবে লাল রং দ্বারা লিখতে হবে যাতে অধিকাংশ শ্রমিক বুঝতে পারে।
৫. প্রত্যেক শ্রমিককে অগ্নিকান্ডের সময় হুশিয়ার করার জন্য, স্পষ্টভাবে শ্রবণযোগ্য হুশিয়ারি সংকেতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৬. সহজে বের হবার জন্য অবাধ পথের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৭. প্রতিষ্ঠানে নীচ তলার উপরে কোন জায়গায় সাধারণভাবে দশ বা ততোধিক শ্রমিক কর্মরত থাকলে অগ্নিকান্ডকালে বের হবার উপায় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
৮. পঞ্চাশ বা ততোধিক শ্রমিক নিয়োজিত থাকলে বৎসরে অন্ততঃ একবার অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করতে হবে।
মেঝে, সিঁড়ি এবং যাতায়াত পথ ধারা ৭২ অনুযায়ী
১. সব মেঝে, সিঁড়ি, চলাচল পথ মজবুতভাবে নির্মাণ করতে হবে এবং যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মজবুত রেলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
২. কাজের স্থানে যাতায়াতের জন্য যুক্তিসঙ্গতভাবে যতদূর সম্ভব নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. কর্মস্থলের সব ফ্লোর, চলাচলের পথ ও সিঁড়ি পরিচ্ছন্ন, প্রশস্ত ও বাধা-বন্ধকহীন হতে হবে।
অতিরিক্ত ওজন
কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিককে, তার ক্ষতি হতে পারে এমন কোন ভারী জিনিস উত্তোলন, বহন অথবা নাড়াচাড়া করতে দেয়া যাবে না।
ভবন ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা
ধারা ৬ তে ভবন ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব পরিদর্শকের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। এ ধারা অনুযায়ী
১. যদি পরিদর্শকের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন বা এর কোন অংশ বা এর কোন পথ, যন্ত্রপাতি, প্লান্ট এমন অবস্থায় আছে যে, তা মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক, এরূপ হলে তিনি মালিকের নিকট লিখিত আদেশ জারি করে তাতে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার মতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন- এ বিষয়ক নির্দেশ দিতে পারেন।
২. যদি পরিদর্শকের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন বা এর কোন অংশ বা এর কোন পথ, যন্ত্রপাতি, প্লান্ট এর ব্যবহার মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার জন্য আশু বিপজ্জনক, এরূপ হলে তিনি মালিকের নিকট লিখিত আদেশ জারি করে তা যথাযথভাবে মেরামত বা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারেন।
যন্ত্রপাতি ঘিরে রাখা
ধারা ৬৩ অনুযায়ী
১. শ্রমিকের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের নিম্নরূপ যন্ত্রপাতি যথোপযুক্তভাবে ঘিরে রাখতে হবে:
ক. প্রাইম-মোভার যন্ত্রের প্রতিটি ঘূর্ণায়মান অংশ এবং এর সাথে সংযুক্ত প্রতিটি ফ্লাই হুইল।
খ. প্রতিটি ওয়াটার হুইল এবং ওয়াটার টারবাইনের উভয় মুখ।
গ. লেদ মেশিনের মুখ অতিক্রমকারী প্রতিটি স্টক বারের অংশ
ঘ. বৈদ্যুতিক জেনারেটর, ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি এবং যে কোন যন্ত্রপাতির প্রতি বিপজ্জনক অংশ।
২. ঘূর্ণায়মান প্রতিটি শেফট, স্পিনডল হুইল অথবা পিনিয়ন এর প্রত্যেক সেট-স্ক্রু, স্পার, ওয়ার্ম এবং দাঁতওয়ালা গিয়ারিং মজবুতভাবে ঘিরে রাখা, কাজ করার সময় শ্রমিকেরা নিজেদের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত রক্ষা করতে পারে।
চলমান যন্ত্রপাতির উপরে বা নিকটে কাজ ধারা ৬৪ অনুযায়ী
১. চলমান কোন যন্ত্রপাতির কোন অংশ পরীক্ষার প্রয়োজন হলে, বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোন পুরুষ শ্রমিক দ্বারা তা করতে হবে। উক্ত শ্রমিককে ঐ সময়ে আটসাট পোশাক পরিধান করতে হবে এবং তার অনুপস্থিতিতে অন্য কেউ এ কাজ করতে পারবে না।
২. মহিলা এবং কিশোর শ্রমিকদের উক্তরূপ কাজের জন্য নিযুক্ত করা যাবে না এবং ঘূর্ণায়মান যন্ত্রপাতিসমূহের মাঝে তাদের দিয়ে কাজ করানো যাবে না।
৩. সরকার প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন যন্ত্রপাতির ঘূর্ণায়মান কোন নির্দিষ্ট অংশের পরিস্কারকরণ, তৈলাক্তকরণ, সুবিন্যস্তকরণ নিষিদ্ধ করতে পারবে।
বিষ্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস, ধূলা ধারা ৭৮ অনুযায়ী
১. প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে উত্থিত গ্যাস, ধোঁয়া, বাষ্প, ধূলা এমন পরিমাণে হয়, যা থেকে বিষ্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে করণীয়:
ক. প্লান্ট বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় তা কার্যকরভাবে ঘিরে রাখা।
খ. উক্তরূপ ধুলা, গ্যাস, ধোঁয়া বা বাষ্প নিষ্কাশন বা বরে সঞ্চয় নিরোধ করা।
২. উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণ কম্ভব না হলে উক্ত প্লান্ট বা যন্ত্রপাতিতে চোক, বেফলস্, ভোন্টস্ বা অন্য কোন কার্যকর যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করে বিস্ফোরণের বিস্তার বা প্রভাব রোধ করার জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন প্লান্ট বা যন্ত্রপাতির কোন অংশ কোন বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস বা বাষ্প স্বাভাবিক বায়ু চাপ অপেক্ষা অধিক চাপে থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত অংশ নিম্নলিখিত পন্থা ব্যতীত খোলা যাবে না:
ক. কোন অংশের ঢাকনার মুখের সংঙ্গে সংযুক্ত কোন পাইপের সংযোগ খুলে দেওয়ার পূর্বে উক্ত অংশে কোন গ্যাস বা বাষ্প প্রবেশ অথবা উক্তরূপ পাইপ স্টপ-বালব্ দ্বারা বা অন্য কোন পন্থায় বন্ধ করতে হবে।
খ. পাইপের গ্যাস বা বাস্পের চাপ স্বাভাবিক বায়ু চাপে কমিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য বাস্তবসম্মত সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ. যদি কোন বন্ধন শ্লথ বা অপসারণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে কোন বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস বা বাস্প উক্ত অংশে অথবা পাইপে বন্ধন শক্ত করে বাধা না হওয়া পর্যন্ত এবং নিরাপদভাবে প্রতিস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত, প্রবেশ নিরোধ করার জন্য সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. যে কোন ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন প্লান্ট চৌবাচ্চাতে কোন বিষ্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ থাকে বা কোন সময় ছিল, সেক্ষেত্রে তাতে তাপ ব্যবহার করে কোনরূপ ঝালাই বা কাটার কাজ করা যাবে না, যদি না উক্ত বস্তু বা ধোয়া অপসারণ অথবা বা অবিস্ফোরক অবস্থায় রূপান্তর করার জন্য প্রথমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং উক্ত রূপ কোন পদার্থ উক্ত প্লান্ট বা চৌবাচ্চায় উক্তরূপ কোন কাজ করার পর প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ধাতু উক্ত বস্তুকে দাহ্য করার বিপদ রোধ করার মত যথেষ্ট ঠান্ডা হয়।
বিপজ্জনক ধোঁয়ার বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ধারা ৭৭ অনুযায়ী
১. কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কক্ষ, চৌবাচ্চা, গর্ত, পাইপ, ধূমপথ এবং অন্যান্য আবদ্ধ
ঘূর্ণায়মান কোন নির্দিষ্ট অংশের পরিস্কারকরণ, তৈলাক্তকরণ, সুবিন্যস্তকরণ নিষিদ্ধ করতে পারবে।
বিষ্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস, ধূলা ধারা ৭৮ অনুযায়ী
১. প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে উত্থিত গ্যাস, ধোঁয়া, বাষ্প, ধূলা এমন পরিমাণে হয়, যা থেকে বিষ্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে করণীয়:
ক. প্লান্ট বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় তা কার্যকরভাবে ঘিরে রাখা।
খ. উক্তরূপ ধুলা, গ্যাস, ধোঁয়া বা বাষ্প নিষ্কাশন বা বরে সঞ্চয় নিরোধ করা।
২. উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণ কম্ভব না হলে উক্ত প্লান্ট বা যন্ত্রপাতিতে চোক, বেফলস্, ভোন্টস্ বা অন্য কোন কার্যকর যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করে বিস্ফোরণের বিস্তার বা প্রভাব রোধ করার জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. যে ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন প্লান্ট বা যন্ত্রপাতির কোন অংশ কোন বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস বা বাষ্প স্বাভাবিক বায়ু চাপ অপেক্ষা অধিক চাপে থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত অংশ নিম্নলিখিত পন্থা ব্যতীত খোলা যাবে না:
ক. কোন অংশের ঢাকনার মুখের সংঙ্গে সংযুক্ত কোন পাইপের সংযোগ খুলে দেওয়ার পূর্বে উক্ত অংশে কোন গ্যাস বা বাষ্প প্রবেশ অথবা উক্তরূপ পাইপ স্টপ-বালব্ দ্বারা বা অন্য কোন পন্থায় বন্ধ করতে হবে।
খ. পাইপের গ্যাস বা বাস্পের চাপ স্বাভাবিক বায়ু চাপে কমিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য বাস্তবসম্মত সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ. যদি কোন বন্ধন শ্লথ বা অপসারণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে কোন বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস বা বাস্প উক্ত অংশে অথবা পাইপে বন্ধন শক্ত করে বাধা না হওয়া পর্যন্ত এবং নিরাপদভাবে প্রতিস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত, প্রবেশ নিরোধ করার জন্য সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. যে কোন ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কোন প্লান্ট চৌবাচ্চাতে কোন বিষ্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ থাকে বা কোন সময় ছিল, সেক্ষেত্রে তাতে তাপ ব্যবহার করে কোনরূপ ঝালাই বা কাটার কাজ করা যাবে না, যদি না উক্ত বস্তু বা ধোয়া অপসারণ অথবা বা অবিস্ফোরক অবস্থায় রূপান্তর করার জন্য প্রথমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং উক্ত রূপ কোন পদার্থ উক্ত প্লান্ট বা চৌবাচ্চায় উক্তরূপ কোন কাজ করার পর প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ধাতু উক্ত বস্তুকে দাহ্য করার বিপদ রোধ করার মত যথেষ্ট ঠান্ডা হয়।=
বিপজ্জনক ধোঁয়ার বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ধারা ৭৭ অনুযায়ী
১. কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কক্ষ, চৌবাচ্চা, গর্ত, পাইপ, ধূমপথ এবং অন্যান্য আবদ্ধ স্থানে যেখানে বিপজ্জনক ধোঁয়া রয়েছে যার দ্বারা ব্যক্তির আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে এমন স্থানে কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবে না।
২. উক্তরূপ স্থানে ২৪ ভোল্টের অধিক ভোল্টেজ যুক্ত কোন বহনযোগ্য বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
৩. নিম্নলিখিত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতিরেকে কাউকে উক্তরূপ স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না:
ক. কোন উপযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরীক্ষান্তে এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হয় যে, স্থানটি বিপজ্জনক ধোঁয়া হতে মুক্ত।
খ. সংশ্লিষ্ট শ্রমিক একটি উপযুক্ত স্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র ব্যবহার করছেন এবং তার কোমর বন্ধের সাথে এমন একটি রজ্জু বাধা আছে যার খোলা প্রান্ত উক্ত স্থানের বাইরে অবস্থানরত কোন ব্যক্তির হাতে আছে।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র, সজ্ঞান করার যন্ত্র, কোমরবন্ধ এবং রজ্জু প্রতিষ্ঠানে মজুদ থাকতে হবে এবং নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে এবং উহা ব্যহারের যোগ্য- এই মর্মে তৎকর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে, এবং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিগণকে উক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার এবং শ্বাস-প্রশ্বাস প্রবাহ করার উপায় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. উক্তরূপ স্থানে কাজ করার জন্য অথবা কোন পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রবেশ করার অনুমতি প্রদান করা যাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ স্থানে বায়ু প্রবাহের দ্বারা যথেষ্ট ঠান্ডা করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
এই আইনের বিভিন্ন ধারায় শ্রমিকের ব্যক্তিগত সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ধারা ৭৯ এর উপধারা ঘ এবং ঙ তে ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে:
ঘ. প্রতিষ্ঠানে কাজে নিযুক্ত ব্যক্তির সাংঘাতিক শারীরিক জখম, বিষাক্রান্ত বা ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে এমন কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি বা তার আশে পাশে কর্মরত ব্যক্তিগণের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা; এবং
ঙ. ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ সম্পর্কে নোটিশ এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের নোটিশ প্রদান।
ঝুঁকি নিরূপণ এবং প্রতিরোধ
ধারা ৪০ এবং ৭৯ তে বলা হয়েছে বিশেষ কোন পেশায় কি ধরনের ঝুঁকি রয়েছে সরকার তা নিরূপণ করবে। এ ধারায় আরো বলা হয়েছে:
ক. সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের যে তালিকা প্রকাশ করবে ঐ সব কাজে কোন কিশোর কে নিয়োগ করা যাবে না।
খ. কোন কিশোর যন্ত্রাপাতিতে কাজ করার পূর্বে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে এবং তিনি যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত অভিজ্ঞ ব্যক্তির তত্তবধানে কাজ করবেন এই মর্মে নিশ্চিত না হয়ে উক্ত কাজে কিশোর শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না।
গ. সরকার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চিহ্নিত করবে এবং এ সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।