বাংলাদেশে অনলাইন মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক । ছোট, মাঝারি বা বড় সব ধরনের বিজনেসেই অনলাইন মার্কেটিং করলে অধিকাংশেরই অন্যতম প্রধান মার্কেটিং প্লাটফরম হচ্ছে ফেসবুক । আর ফেসবুক মার্কেটিং মানেই আমাদের দেশে ফেসবুকে পেইড এডস যা বুস্টিং হিসবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত । ফেসবুকের মাধ্যমে বিজনেস করতে চাইলে আপনাকে একটা পেইজ খুলতে হবে । যেখানে আপনার বিজনেস রিলেটেড কন্টেন্ট অর্থাৎ ছবি বা ভিডিও দিতে হবে । যেই কন্টেন্টগুলোর নিচেই আমরা দেখতে পাই Boost লেখা ।
এই বুস্ট বাটনে ক্লিক করে আমরা মূলত ফেসবুকে পেইড এডস দেই । নির্দিস্ট বাজেটে নির্দিষ্ট দিনের জন্যে এড দিয়ে আমরা মূলত ওই ছবি বা ভিডিওকে আমাদের টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌছে দেই ।
যখন আমরা আমাদের পেইজের কোন কন্টেন্টে এড দেই বা বুস্ট করি তখন আমাদের টার্গেটেড অডিয়েন্স তাদের ফেসবুকে সেগুলো স্পন্সরড কন্টেন্ট হিসাবে দেখতে পায় ।
উদাহরণঃ
ধরুন আপনার একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে নাম ABC Restaurent । আপনি ফেইসবুকে ABC Restaurent নামে একটা পেইজ খুললেন । এরপর পেইজে লোগো, কাভার সবকিছু দিয়ে একটা প্রফেশনাল লুক নিয়ে আসলেন । এখন পেইজে লাইক বা ফলোয়ার বাড়াতে চাচ্ছেন এবং পেইজে আপনি কিছু ফুডের ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছে যেখানে আপনি কিছু লাইক কমেন্ট বাড়াতে চাচ্ছেন এবং আরো বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছেন । যা আপনি ফেসবুকে এড দিয়ে বা বুষ্ট করে করতে পারবেন । আপনার পেইজে লাইক বাড়ানোর জন্যে আপনি পেইজ লাইক ক্যাম্পেইন করতে পারেন, অনেকে যেটাকে পেইজ প্রোমট বলে চিনে থাকে । আর আপনার ফুডের ছবি অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে অনেক অনেক লাইক কমেন্ট নিয়ে আসতে চাইলে আনি পোস্ট এংগেস্মেন্ট এড দিতে পারেন , সরাসরি বুসট বাটনে ক্লিক করে বা এড ম্যানেজার থেকে এড দিতে পারবেন । যেমন ধরুন ১০ ডলারের এড ২ দিনের জন্যে গুলশান এলাকার ২০-৩০ বছর বয়সের মানুষকে দেখাতে চাচ্ছেন, এছাড়াও ফেসবুক আরো অনেক ডিটেইল টার্গেটিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিসে আগ্রহী কাস্টমারকে টার্গেট করা সম্ভব । সোজা কথায় ফেসবুককে আপনি করলে ফেসবুক আপনার বিজনেসকে প্রচার করে দিবে এবং এত কম খরচে এত ইফেক্টিভ মার্কেটিং আপনি আর কোন প্লাটফরমে করতে পারবেন না (আউট বাউন্ড মার্কেটিং এ)।
বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে এড দিতে হলে আপনার একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড লাগবে যেইটা প্রধান বলেই বাংলাদেশে বুস্টিং সার্ভিস দেয়া অনেক এজেন্সি বা কোম্পানি গড়ে উঠেছে ।একটা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হাতে পেয়ে ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে যাওয়া এই সকল ব্যক্তি দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর নামে যে বুস্টিং কালচার গোড়ে তুলেছে তাতে ডিজিটাল মাররেকেটিং ব্যপারটা অনেক সস্তা হয়ে পরছে । যাইহোক বুস্ট করার জন্যে আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থাকলে আপনি নিজেই এড দিতে পারবেন যদি খুব বেশি প্রফেশনালি চিন্তা না করেন । বাংলাদেশে কয়েকটি ব্যাংক প্রিপেইড ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিচ্ছে । যেমনঃ Eastern Bank Ltd ( EBL ) Midland Bank, City Bank সহ আরও কয়েকটি রয়েছে । আপনার একটি পাসপোর্ট থাকেই আপনি এই সকল ব্যংক থেকে প্রিপেইড কার্ড নিয়ে ডলার ব্যবহার করতে পারবেন । কার্ড সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে ব্যাংকগুলোর কল সেন্টারে করে করে জেনে নিতে পারেন ।
ফেসবুকে বুস্ট করা বা এড দেয়ার আগে যেই বিষয়গুলো আপনার জানা উচিত বা খেয়াল রাখা উচিতঃ
ফেসবুকে এখন অনেকেই বুস্ট করছে, কিন্তু কিছু ব্যপার না জেনে বুস্ট করলে আপনার পেইজ বা এড একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যেতে পারে যার ফোলে আপনি পরবর্তিতে আপনি আর ফেসবুকে বুস্ট করতে বা এড দিতে পারবেন না । এড দেয়াড় ক্ষেত্রে ফেসবুকের কিছু নীতিমালা ও গাইডলাইন রয়েছে যেগুলোকে Privacy Policy এবং Community Standerd বলে যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং কিছু Suspicius বা Usual Activity Avoid করতে হবে ।
১। এড একাউন্ট লেভেলে
২। আইডি লেভেলে
৩। বিজনেস ম্যানেজার লেভেলে
৪। পেইজ লেভেলে
ফেসবুকে Ad Policy এবং Community Standard সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে আপনি লিংকে গিয়ে বিস্তারিত পরে আস্তে পারবেন তবে আমি বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেসগুলোর খুব কমন কিছু মিস্টেক এর কথা বলব যেগুলোর কারণে তাদের একাউন্ট রেস্টিক্টেড হয়ে যায় ।
১। গ্লোবাল ব্রান্ড এর এসেট বা কন্টেন্ট ব্যবহার করাঃ
২। ইমেজে কম্পেরিজন দেখানো বা বেশি বডিপার্ট দেখানোঃ
৩। ডিস্ক্রিপশনে কমিউনিটি ভায়লেন্স
৪। পেইজে অথেক্টিঙ্ক নয় এমন লিংক শেয়ার করা
৫। রেস্ট্রিশন রয়েছে এমন আইডি এড একাউন্ট বা পেইজে রাখা
৬। পার্সোনাল একাউন্ট থেকে ভুলভাল নিউজ শেয়ার করা
৭। কুপন দিয়ে এড দেয়া বা উল্টা পালটা পেমেন্ট মেথড এড করা
উপড়ের এই ব্যপারগুলো বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেসগুলোর কমন মিস্টেক এর বাইরে আরো অনেক মেজর কারণ রয়েছে যেমন আপনি ড্রাগ, অস্ত্র, এলকোহল এই সবের এড দিতে পারবেন না। বাকী ইস্যুগুলো আপনি লিংক থেকে পড়ে জানতে পারবেন ।